পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০১১

প্রিন্স অফ পারসিয়াঃ টু থ্রোন্স



প্রিন্স অফ পারসিয়া সিরিজের তৃতীয় গেমটি হচ্ছে টু থ্রোন্স। ২০০৫ সালে গেমটি বের হয় গেমটি ইউবিসফট মন্টিয়েল ডেভেলপ করে ও ইউবিসফট পাবলিশ করেআগের গেমগুলোর মত এ গেমটিও বেশ জনপ্রিয়। এটি শুরু হয় প্রিন্স অফ পারসিয়াঃ ওয়ারিয়র উইদিনের শেষ থেকে।

এর আগের পর্ব প্রিন্স অফ পারসিয়াঃ ওয়ারিয়র উইদিনে প্রিন্স তার ডেস্টিনি মোকাবেলা করতে টাইম আইল্যান্ডে যায় ও পাস্টে গিয়ে আওয়ার গ্লাস ভেঙ্গে দিয়ে আসে। যেহেতু প্রিন্স পাস্টে আওয়ার গ্লাস ভেঙ্গে আসে তাই প্রেজেন্ট বা বর্তমানে কোন সেন্ড থাকবে না। আর বর্তমানে যদি সেন্ড ব্যবহার না হয় তাহলে সব কাহিনী বদলে যাবে। অর্থাৎ সুলতানের কোন আওয়ার গ্লাস থাকবে না, ভিজিওর টাইম অফ ডেগার নিতে চাবে না (সে চিনবেই না সেন্ড অফ ডেগার কি), ফারাহ ও মারা যাবে না। মোট কথা প্রিন্স অফ পারসিয়াঃ সেন্ডস অফ টাইমের পুরো কাহিনী বদলে যাবে! (ব্যপারটা বড্ড গোজামেলে কিন্তু গেমটির কাহিনী এমনটাই কি আর করা!) তাই এই সময় দেখা যাবে টু থ্রোন্সের কাহিনী। প্রিন্স কাইলিনাকে নিয়ে বেবিলনে ফিরে এসে দেখে যে ভিজিওর বেবিলন দখল করে ফেলেছে। ভিজিওর কাইলিনা কে ডেগার অফ টাইম দিয়ে মেরে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যায়। আর প্রিন্স যুদ্ধ করতে থাকে সেন্ড মন্সটার ও ভিজিওরের হাত থেকে বেবিলনকে বাচাতে।
 
এই গেমসে প্রিন্সের দু’টি রূপ দেখা যায়। ভিজিওর কাইলিনাকে মারার সময় প্রিন্সের শরীরে সেন্ড ঢুকে যায়। কিন্তু প্রিন্সের সেন্ডের ব্যাপারে অবিজ্ঞ হওয়ায় সেন্ড তাকে পুরো মন্সটার বানিয়ে ফেলতে পারে না, তাই কিছু সময়ের জন্য মাঝে মাঝে প্রিন্স সেন্ড মন্সটার হয়ে যায়। এই গেমটায় ফারাহ ফিরে আসে। তার কিংডম ভিজিওর ধ্বংস করে দেয় ও ফারাহর পিতাকে মেরে ফেলে। তাই সে প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বেবিলনে ফিরে আসে ও প্রিন্সকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে।

এবার আসি গেমপ্লের কথায়। এই গেমটির গেমপ্লে ওয়ারিওর উইদিনের মতই। দুই হাতে দুটি সোর্ড নিয়ে প্রিন্স কমব্যেট করতে পারে। প্রিন্সের ডান হাতে থাকে ডেগার অফ টাইম ও বাম হাতে যে কোন সোর্ড বা হেমার নেয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের কম্বো আছে এই গেমটিতে। শুধু ডেগারের যেমন কম্বো আছে তেমনি ডুয়েল হ্যান্ড কম্বোও গেমটিতে আছে। প্রিন্স স্যান্ড মন্সটার হয়ে গেলে প্রিন্সের বাম হাতে একটি চেইন চলে আসে। এর মাধ্যমে প্রিন্স সেন্ড মন্সটারদের মারতে পারে। সাধারণত প্রিন্স সেন্ড মন্সটার থাকাকালে বেশি শক্তিশালী থাকে কিন্তু এ সময় তার লাইফ ক্রমাগত কমতে থাকে। প্রিন্স সেন্ড পেলেই লাইফ পুরো ভরে যায় গেমটিতে লাইফ আপডেট খুজে পেতে আগের পর্বের মত বেগ পেতে হবে না। এর কাহিনীও লাইফ আপডেটের উপর নির্ভর করে না। এই গেমসে ‘কুইক কিল’ নামক জেকানিজমের মত একটি মোড আছে। এর মাধ্যমে কোন সেন্ড মন্সটারকে উপর থেকে অথবা পেছন থেকে মেরে ফেলা যাবে। গেমটিতে সেন্ডের ব্যবহারও আগের গেমসের মতই আছে। অর্থাৎ টাইম রিকল, টাইম স্লো, আই অফ দ্য স্টর্ম, র‍্যাথ  অফ দ্য গড ইত্যাদি আগের পর্বের মতই ব্যবহার করা যাবে।

এই হল প্রিন্স অফ পারসিয়ার তিনটি ট্রেলজি। এরপর Prince of Parsia 4 (২০০৮) ও সম্প্রতি Prince of Persia: The Forgotten Sands (২০১০) বের হয়েছে। POP 4 গেমটি ট্রেডিসনাল প্রিন্স অফ পারসিয়া থেকে অনেক বাইরে চলে গেছে। গেমটি আলোচিত সমালোচিত দুটিই হয়েছে। POP 5 The Forgotten Sands গেমটি আবার আগের ধারায় ফিরে এসেছে। এ গেমটির কাহিনী গড়ে উঠেছে POP Sands Of Time আর POP Warrior Within এর মাঝখানের ৭ বছরের মাঝে। ইউবিসফট প্লেস্টশন ৩ এর জন্য প্রিন্স অফ পারসিয়া ট্রেলজি নামের একটি গেম প্রকাশ করবে বলে জানা যায়। ৩ টি গেমের কাহিনী নিয়ে এই একটি গেম বের হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।  ব্যক্তিগত ভাবে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে POP Sands Of Time POP Warrior Withinগেমদুটি যে অসাধারণ প্লটে রচিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর POP Two Thrones গেমটি মোটামুটি লেগেছে আমার কাছে। এর গ্রাফিক্স এবং স্টোরি লাইন এতটা জমকালো আমার কাছে লাগে নি
প্রিন্স অফ পারসিয়া ট্রেলজির রিভিউ শেষ হল। আশা করি এই গেমগুলো সবাই খেলেছেন বা খেলবেন। সামনে Prince of Persia এর বিচ্ছিন্ন দুটি পর্ব নিয়ে লিখতে পারি। ততদিন পর্যন্ত ভালো থাকবেন। :)

Posted by Rafeed
read more "প্রিন্স অফ পারসিয়াঃ টু থ্রোন্স"

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১১

NFS এর আরেকটি Open Track গেমঃ NFS UNDERCOVER

 
Need for speed সিরিজ এর আরেকটি জনপ্রিয় গেম হিসেবে Need for speed Undercover এর কথা বলাই যায়। বিশেষ করে story based racing game যাদের প্রিয়, তাদের এই গেমটা খারাপ লাগার কথা না। অনেক গেমার এর একটা প্রশ্ন থাকে, NFS most wanted এর পরের গেমগুলো কেন NFS Most wanted এর মত না? কেন open world map নেই? কেন ভালো স্টোরি নেই? তাদের সন্তুষ্ট করবে NFS Undercover.

গেমটার গ্রাফিক্স সন্দেহাতীতভাবেই দারুন। Car, world map, shadow effect, smoke- সবকিছুই খুবই detailed. তাছাড়া গেমটিতে গাড়িগুলোর জন্যে damage নামক একটা option আছে। সেটা অন থাকলে গাড়ির বডির damage হয়, যা উল্লেখ করার মত।
NFS undercover একটা story based racing গেম। গেমার এর চরিত্র এখানে একজন undercover পুলিশ অফিসার এর। যে কিনা একটা আন্তর্জাতিক স্মাগলার চক্রকে খুঁজে বের করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। Chase Linh এর নির্দেশ মত গেমার কাজ করে যায়। আর Chase Linh এর ক্যারেক্টারটি এখানে করেন Maggie Q. Chase Linh ছাড়াও গেম এর cut scene এ আরও কয়েকটি ক্যারেক্টার নিয়মিত দেখা যাবে। তবে NFS Undercover এর cut scene গুলো NFS Most Wanted এর cut scene গুলোর মতো অতোটা গুছানো নয়।

NFS সিরিজের open world map এর গেমগুলার মধ্যে NFS Undercover এর ম্যাপই সবচেয়ে বড়। আক্ষরিক অর্থেই ম্যাপটি বিশাল। প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার এর এরিয়া নিয়ে। NFS Undercover এর যে শহরটি দেখায়, তার নাম Tri-cityশহরটির হাইওয়েগুলো অনেক লম্বা ও চওড়াঅফরোড এর সংখ্যা ও অনেক বেশি। সবমিলিয়ে Tri-cityকে খুবই প্ল্যানড একটা শহর হিসেবে দেখান হয়।




















গেমটিতে Checkpoint, sprint, circit- এসব গতানুগতিক রেস ইভেন্ট এর সাথে কিছু নতুন রেস যোগ করা হয়, যেমন highway battle. তাছাড়া আলাদা ধরনের কিছু রেস ইভেন্টও আছে। এদের নাম দেয়া হয় job তো jobগুলো এমন হয় যে, কোনও দামী গাড়ি একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোথায়ও ডেলিভার করতে হবে। কখনো হইতো গাড়িটির কোনও damage করা যাবে না। আবার কখনো পুলিশ ইভেড করেই ডেলিভার করতে হবে।
পুলিশের কথা বলতে গেলে বলা যায়, তারা এখানে NFS Most wanted NFS Carbon এর মতই স্বমহিমায় বিরাজমান! কিন্তু NFS Most wanted NFS Carbon যেমন heat level 1 এ শুধু heat level 1 এর পুলিশই আসতো, NFD Undercover heat level 1 এও heat level 5 এর পুলিশ আসতে পারে। এটা নির্ভর করে রেসার এর wheel man level এর উপর। রেসার এর গেমের progress যত বাড়বে, wheelman level ও তত updated হবে।
NFS Most wanted NFS Carbon এ যেমন BMW M3 GTR গাড়িটিকে হাইলাইট করা হয়েছে, এই গেমে তেমন কোনও গাড়িকে আলাদাভাবে হাইলাইট করা হয়নি। তবে নামি-দামি প্রায় ৫৯টি গাড়ি গেমটিতে আছে আর গাড়ি customised করার option এখানে কিছুটা বেশি।

NFS Undercover গেমটির স্টোরি, NFS Most wanted এর মত অতটা উত্তেজনাদায়ক না হলেও গেমটির একেবারে শেষে একটা চমক আছে। যাদের NFS Most wanted যাদের ভালো লেগেছে, তাদের NFS Undercover ও ভালই লাগবে আশা করা যায়।


PC requirements:
  • Windows XP/VISTA Operating system with latest service pack installed
  • Processer: Intel Pentium 4 (or equivalent) CPU running at 2.8 GHz or higher (3.0GHz for Windows Vista PC)
  • Minimum amount of RAM needed : 1GB RAM
  • Graphics Card : Geforce 6500, Radeon 9500 or better DirectX compliant video card with Pixel shader 2.0 or above (AGP and PCIe only) using a supported chipset
  • DirectX compatible sound card
  • 8X or faster DVD Drive
  • 2.0 GB of HD space required to install game
  • DirectX Nov 2007 edition (included in Game Disc)



 Posted by Atanu Fagun
read more "NFS এর আরেকটি Open Track গেমঃ NFS UNDERCOVER"

সোমবার, ২০ জুন, ২০১১

ডেভিল মে ক্রাইঃ ৩ দান্তে’স আওয়েকিনিং





ডেভিল মে ক্রাইঃ ৩ দান্তে’স আওয়েকিনিং গেমটি ডেভিল মে ক্রাই বা DmC সিরিজের তৃতীয় গেম কিন্তু এটি এর আগের দুটি পার্টের প্রিকুয়েল, অর্থাৎ এটির কাহিনী সবার আগে বের হয়েছে DmC 4 যারা খেলেছেন তারা নিশ্চিয় ভেবেছেন এই দান্তে কে বা কোথা থেকে এল? DmC 3 তে রয়েছে এর জবাব

গেমটির কাহিনী অনেক সুন্দর DmC সিরিজটিকে গেম না বলে একটি মুভির পার্ট বললে খারাপ হবে না এর কাহিনী শুরু হয় ডানটে ও তার জমজ ভাই ভার্জিলকে কেন্দ্র করে ডেমন স্পার্ডা তার ছেলে দান্তে ও ভার্জিলকে মারা যাওয়ার আগে একটি এমুলেট দুই ভাগ করে দুই জনকে দিয়ে যায় এই দুই খন্ড এমুলেট জোড়া দিয়ে হেল গেট খোলা যায় হেল গেট খুললে নরক থেকে ডিমনেরা উঠে এসে পৃথিবী দখল করে ফেলবে তাই ডানতে কখনোই চায় না হেল গেট ওপেন হোক অপর দিকে ভার্জিল সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হতে চায় তাই সে হেল গেট খুলে ফেলতে চায় এজন্য দান্তে ও ভার্জিলের মাঝে লড়াই হয় ও প্রথমে ভার্জিল জেতে ও দান্তের অর্ধেক এমুলেট নিয়ে যায় দান্তে তার অর্ধেক এমুলেট পাওয়ার জন্য ও হেল গেট খোলা বন্ধ করার জন্য ভার্জিলকে খুজতে থাকে এভাবেই গেমটির কাহিনী এগিয়ে জেতে থাকে
গেমটির গ্রাফিক্স মোটামুটি ভালোই বলা যায় তবে লক্ষ রাখতে হবে গেমটি বের হয়েছিল ২০০৫ সালে এবং সে আমলের তুলনায় DmC 3 এর গ্রাফিক্স যথেষ্ঠ উন্নতই ছিল গেমটির সিনেমা্টিক্স যথেষ্ঠ উন্নত এছাড়া মুভমেন্ট, একশ্যন সব দিকেই সামাঞ্জস্যপূর্ণ
এখন আসি গেমপ্লে এর কথায়। গেমটিতে দান্তেকে নিয়ে চারটি মোডে খেলা যাবে। এগুলো হল ট্রিকস্টার, সোর্ড মাস্টার, গানস্লিঙ্গার ও রয়াল গার্ড। কিন্তু এই গেমটির মাঝে যে কোন সময় মোড বদলানো যাবে না। গেম শুরুর আগেই কোন মোডে খেলতে হবে তা সিলেক্ট করে ফেলতে হবে। DmC 3 তে অনেক ধরনের ওয়েপন পাওয়া যাবে, একেকটি বসকে মারলে একেক ধরণের ওয়েপন আনলক হবে। তবে ডিফল্ট ওয়েপন হিসেবে পাবেন দান্তের সোর্ড রিবিলিয়ন ও ইবোনি এবং আইভোরি গান হিসেবে পাবেন। এগুলোর জন্য আলাদা কম্বো কিনার ব্যবস্থা আছে। ডেভিল ট্রিগার নামের একটি অপসন আছে যা এক্টিভেট করলে দান্তে কিছু সময়ের জন্য ডিমন হয়ে যায় ও সহজে বিভিন্ন ডিমনদের সাথে ফাইট করতে পারে এই গেমটিতেও স্টাইলিশ র‍্যাঙ্ক আছে। র‍্যাঙ্কগুলো যথাক্রমে D,C,B,A,S,SS SSSযত র‍্যাঙ্ক বারানো যাবে তত বেশি রেড অর্ব পাওয়া যাবে। রেড অর্বের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েপনের কম্বো থেকে আরো অনেক কিছু কেনা যাবে।
গেমটির শেষ অংশটিও অনেক আকর্ষনিয়। দান্তে ও ভার্জিল ফাইট করতে থাকে ও শেষ মুহূর্তে ভার্জিল দান্তের কাছে হেরে যায়এ জন্য ভার্জিল নরকে চলে যায় ও হেল গেট বন্ধ করে দেয়। ভার্জিলের সোর্ড ইয়ামাটো এসময় দান্তের কাছে থাকে যা এর পরবর্তি পর্বে নিরোর কাজে লাগে। এখানে লেডি নামের ডিমন হান্টার দান্তেকে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি দান্তের বিরাট বড় ফ্যান কারণ তার মত ফাজলামো আর কোন গেমসের ক্যারেক্টার করতে পারে না। DmC 3 তেও দান্তের এ রুপটি ভালোভাবে দেখা যাবে। দান্তে বিভিন্ন বসকে টিজ করে রাগিয়ে দেয় যা আমার খুব ভালো লাগে। লেডির সাথে প্রথম দেখায় সে দেখার মত কিছু ডায়ালগ দেয় গেমটি খেললেই বুঝতে পারবেন। :D
সর্বোপরি গেমটি অসাধারন। অনেকেই এর পরের ভার্সনটি খেলেছেন কিন্তু DmC 3 খেলেন নি। তারা এখন গেমটি খেলতে পারেন। আশা করছি দান্তে আপনাকে হতাশ করবে না। তার ঠাট্ট্রা মশকরায় হাসবেন, তার দুঃখে কাঁদবেন, এমনটাই হবে। আফটার অল ইট’স ডেভিলস মে ক্রাই ;)

গেমটির সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টসঃ
Minimum System Requirements
System:
1 GHz Pentium III or equivalent
RAM:
256 MB
Video Memory:
128 MB
Hard Drive Space:
4700 MB


Recommended System Requirements
System:
2 GHz Pentium 4 or equivalent
Video Memory:
512 MB
 
                                      Posted by Rafeed
read more "ডেভিল মে ক্রাইঃ ৩ দান্তে’স আওয়েকিনিং"

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১১

A Mystical game: The Darksiders


1.        পাব্লিশার   :  THQ
2.       ডেভেলাপার :  Vigil Games 
3.       প্লাটফরম  :   PC ; PS3 ; Xbox 360
4.       প্রকৃতি    :  Hack n Slash, Action Adventure
5.       রিলিজ    :  জানুয়ারি , ২০১০ ( নর্থ আমেরিকা ) PS3 Xbox 360
                সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১০ ( নর্থ আমেরিকা ) PC   
6.       ধরণ     :  Single Player; Third Person 

প্রথম দৃষ্টিতে গেমটি হয়তবা অনেকের কাছে আকর্ষণীয় নাও লাগতে পারে , বিশেষ করে যারা PC তে গেম খেলে আমি সাধারণত Hack n Slash গেম পছন্দ করি তাই আমি সব কন্সোলের খবর রাখার চেষ্টা করি যখন গেমটি প্রথম দেখেছিলাম তখন খুব মন খারাপ হয়েছিল কারণ গেমটি তখন শুধু প্লেস্টেশনে রিলিজ পেয়েছিল অনেকদিন পর পিসির জন্য গেমটি বাংলাদেশের মার্কেটে দেখে বেশ খুশি হলাম একটু দেরিতে বের হয়েছে বলে গেমটি অনেকে নাও খেলা হতে পারে
গেম কিনার ব্যাপারে প্রথম জিনিস যা আমাকে আকৃষ্ট করে তা হল এর গ্রাফিক্স গেমপ্লে
গেমটি বাহ্যিকভাবে প্রথমেই Hack n Slash সবার মনে এর এক্ আমেজ এসে পরে তবে এর ব্যতিক্রমও দেখতে পেয়েছি     
প্লট
শত বর্ষ ধরে চলা, স্বর্গ নরকের মধ্যে যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য , সাময়িক যুদ্ধবিরতির জন্য দ্য চার্ড কাওন্সিল আপকালিপ্সের চারজন হোরস্ম্যানকে পাঠায় চার্ড কাওন্সিলের ধারনা , সন্ধির যুগযুগান্তকাল পরে মানব জাতি শেষ আপকালিপ্টিক যুদ্ধে এক বড় ভূমিকা পালন করবে আর যুদ্ধ শুরু হবে দ্য সেভেন্থ সীল ভাঙ্গার মাধ্যমে
বর্তমানে, পৃথিবিতে এঞ্জেল আর ডিমনেরা যুদ্ধ করছে ওয়ার’ , চারজন হোরস্ম্যানের মধ্যে একজন উপস্থিত হয় হেভেন আর হেল এর মধ্যবর্তী এই সংঘাত বন্ধ করতে। কিন্তু সে নিজেকে খুজে পায় যুদ্ধরক্তারক্তির মাঝে অন্য হর্সম্যান্দের দেখতে না পেয়ে সে বুঝতে পারে না কি করবে এক সময় স্বর্গের দলপতি অ্যাবাডনের দেখা সে পায়, যে তাকে বলে যে তাকে ডাকা হয় নি এবং চারজন হর্সম্যানদের বাকি তিন জনআসেনি আর দ্য সেভেন্থ সীলও কেউ ভাঙ্গে নি


এমন সময় স্ট্রাগা, এক শক্তিশালী ডিমন, পাতাল থেকে উঠে আসে এবং অ্যাবাডনকে মেরে ফেলে ওয়ার স্ট্রাগার সাথে ফাইট করে হেরে যায় ওয়ারকে মারার পরিবর্তে চার্ড কাউন্সিলে পাঠানো হয় সীল ভাঙার পূর্বে অ্যাপোক্যালিপ্টিক যুদ্ধ শুরুর জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয় কিন্তু ওয়ার তা অস্বীকার করে এবং দাবী করে যে কেউ ষড়যন্ত্র করে তাকে জাগিয়েছে সে তার ষড়যন্ত্রকারিকে খুজে বের করার জন্য পৃথিবীতে আসতে চায় সে পৃথিবীতে ফেরার সু্যোগ পায়
পৃথিবীতে ফিরে সে দেখে অনেক দেরি হয়ে গেছে এবং নরকের নেতা ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধে জিতেছে পৃথিবীতে ভারসাম্য আনতে সে ডেস্ট্রয়ারকে মারার পণ করে এভাবে কাহিনী এগিয়ে যায়


গ্রাফিক্স :
গেমের গ্রাফিক্সের ব্যাপারে সামাঞ্জস্যতা দেখা যায় খানিকটা কারটুনিশ টাইপের গ্রাফিক্স এর আগেও ( প্রিন্স অফ পারসিয়া ২০০৮) দেখা গেছে  বিভিন্ন পরিবেশের ডিটেইল বিবরণ দেওয়ার চেস্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার রাখে গেমসটির গ্রাফিক্স যে উন্নত এ ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করবে না
গেমপ্লে :
যারা গড অফ ওয়ার খেলেনি তাদের উচিত এই গেমটি খেলা গেমের শুরুতে ওয়ারের বেশিরভাগ পাওয়ার নিয়ে নেওয়া হয় , শুধু কেওয়াসইটার সোর্ড ছাড়া ধীরে ধীরে সোউল সংগ্রহ করে কম্বো আপডেট করতে হয় পুরো গেমে তিন্ ধরণের অস্ত্র পাওয়া যায় প্রত্যেকটির কম্ব যেমন ভিন্ন তেমনি

প্রত্যেকটির ফিনিশিং মুভ ভিন্ন আবার প্রত্যেক শ্ত্রুর ক্ষেত্রে ফিনিশিং ভিন্ন এছাড়া শুরিকেন জাতীয় অস্ত্র আছে যা দূরের শ্ত্রু মারতে সহায়ক গেমটিতে পাযল , এক্সপ্লোরিং ফ্রি রানিং এর ব্যাবস্থা আছে এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন এনহান্সমেন্ট যা ওয়েপনের সাথে লাগিয়ে সোর্ডফাইটিং স্টাইল আরো উন্নত করা যাবে ডেভিল মে ক্রাই এর ডেভিল ট্রিগারের মত র‌্যাথ মোড ছে, যার মাধ্যমে সহজে শত্রুকে মারা যায়। গেমে কালেক্টেবল আইটেম হিসেবে অনেক কিছু পাওয়া যাবে
 
সর্বপুরি গেমটি অসাধারণ! যদি এখনো না খেলে থাকেন তাহলে খেলে ফেলুন এখনি। নিশ্চিতভাবে বলছি যে গেমটি খেলে আপনাকে হতাশ হতে হবে না। যদিও এর গেমপ্লে অনেক কঠিন তবে ভালো জিনিষ খেলতে হলে তো একটু কষ্ট করে খেলতে তো হবেই! তাই খেলে ফেলুন গেমটি :D
রেটিং :
IGN            :  7.8 – 8.3 (Good)
Gamespot       :  8.4  -  8.5   (Great)
Metacitric       : 8.2   -  8.3     

রিকোয়ারমেন্টস :
Minimum:
1.                  Operating System: Windows XP SP3, Vista SP1, Windows 7
1.                  Processor: AMD Athlon 64 Processor 3800 2.4Ghz, Intel Pentium 4 530 3.0Ghz Processor
2.                  RAM Memory: 1 GB (Windows XP), 2 GB (Vista / Windows 7)
3.                  Graphics Card: ATI Radeon X1900 or NVIDIA GeForce 8800/GeForce GT220 with 256MB of Video RAM
4.                  DirectX®: DirectX 9.0c
5.                  Hard Drive: 12GB free hard drive space
6.                  Sound Card: DirectX 9.0C compatible sound card
Recommended:
1.                  Operating System: Windows XP SP3, Vista SP1, Windows 7
2.                  Processor: AMD Athlon 64 X2 5200 Dual Core 2.60Ghz, Intel Core 2 Duo E6420 Dual Core 2.13Ghz
3.                  RAM Memory: 2 GB (Windows XP), 3 GB (Vista / Windows 7)
4.                  Graphics Card: ATI Radeon HD 3870 or NVIDIA GeForce GTS 240 with 256MB of Video RAM
5.                  DirectX®: DirectX 9.0c
6.                  Hard Drive: 12GB free hard drive space
7.                  Sound Card: DirectX 9.0C compatible sound card

   posted by Saad Manzur(Eldin)





 
 


read more "A Mystical game: The Darksiders"

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ